হ্যামট্রাম্যাক শহরের রাধাকৃষ্ণ টেম্পল বিকেল ৬টায় মন্দির প্রাঙ্গণ শোভাযাত্রা বের করে। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিকেল ৪টায় হ্যামট্রাম্যাক হাইস্কুলের পার্কিং লট থেকে দুর্গা টেম্পলের আরও একটি শোভাযাত্রা বের হয়। ওয়ারেন সিটির শিব মন্দির টেম্পল অব জয় বিকেল ৭টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে।

শোভাযাত্রাগুলোতে মৃদঙ্গ, করতাল, কাশি, ব্যান্ডের বাজনা এবং শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন রূপে সেজে অংশগ্রহণকারীরা শ্রীকৃষ্ণের জয়গান করে পুরো এলাকা মুখরিত করেন। ব্যানার, ফেস্টুন ও পতাকা হাতে বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশুরা উলুধ্বনি তুলে শুভ জন্মদিনের স্লোগান দেন। শোভাযাত্রার পাশাপাশি মন্দিরগুলোতে পূজা, গীতা পাঠ, কীর্তন, প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রোববার হ্যামট্রাম্যাকের রাধাকৃষ্ণ টেম্পল, ওয়ারেন সিটির শিব মন্দির টেম্পল অব জয় এবং মিশিগান কালিবাড়ি ও ডেট্রয়েটের দুর্গা টেম্পলে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

হিন্দু পুরাণমতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়, তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানুষের কল্যাণ ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে আগমন করেন। যুগে যুগে দুষ্ট শক্তিকে দমন করে তিনি সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠা করেন বলে বিশ্বাস করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।